শাবানা আজ়মি বলে, ছয় থেকে ৬০, আমি যে কারও সঙ্গে ফ্লার্ট করতে পারি: মৌসুমী
দক্ষিণ কলকাতার পুরনো বাড়িতে চুপিসারে চলছিল ‘আড়ি’ ছবির শুটিং। অভিনেত্রী মৌসুমি চট্টোপাধ্যায় সেই কারণেই মুম্বই থেকে ঝটিতি সফরে কলকাতায়। শুটিংয়ের ফাঁকে তাঁর একান্ত সাক্ষাৎকার আনন্দবাজার অনলাইনে। দেখামাত্রই বলে উঠলেন “আমি কিন্তু তোমাকে তুমি ডাকব।
প্রশ্ন: বড় আঘাত, সামলেছেন কী ভাবে?
মৌসুমী: যদি আধ্যাত্মিক পথে থাকো কিছু এসে-যাবে না। দুঃখকে আমি কখনও বড় করতে চাই না। নিজের আনন্দ, সুখ যদি কারও সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারো, তা হলে সেটা করো। লোকে বলবে, ‘পাগলে কী না বলে ছাগলে কী না খায়’। আমার বড় মেয়ে পায়েলের মৃত্যুবার্ষিকী গেল কিছু দিন আগে। পায়েল খুব অল্প বয়সে চলে গেল। কিন্তু বেঁচে থাকলে আরও ভুগতে হত ওকে। আমি এ ভাবেই নিজেকে বুঝিয়েছি। বাবা তো বলতেন মৃত্যু একটা আশীর্বাদ। জীবন-মৃত্যু মেনে নিয়েই নিজেকে ভাল রাখতেই হবে।
প্রশ্ন: নিজেদের যত্ন নেন যাঁরা, তাঁদের পছন্দ করেন আপনি?
মৌসুমী: মেয়েরা সাজগোজ করলে খুব ভাল লাগে। ছেলেরা সাজলে হাসিখুশি লাগে, ছেলেদের ব্যক্তিত্ব, শিষ্টাচার চোখে পড়লে ভাল লাগে। আমাদের জমানায় বিনোদ খন্না, ধর্মেন্দ্র উঠে চেয়ার এগিয়ে দিত। আর এখানে অভিনেতারা একটা হিট দিয়েছে কি দেয়নি, কী হাবভাব, চিকলেট খাচ্ছে আর পা দোলাচ্ছে! তাকে ঘিরে আবার চার-পাঁচটা বাউন্সার। যখন এসেছিলাম, আমাকেও ‘বডিগার্ড’-এর কথা বলা হয়। আমার যা দেহ, তা রক্ষার জন্য দেহরক্ষী লাগবে না।
প্রশ্ন: জনপ্রিয়তা এখন নানা রকমের। অনেকে রিল করেই জনপ্রিয় …
মৌসুমী: রিল আবার কী?
প্রশ্ন: ওই যে সমাজমাধ্যমে স্বল্পদৈর্ঘ্যের ভিডিয়ো…
মৌসুমী: ও আচ্ছা বুঝেছি! ভাল চাকরি ছেড়ে দিয়ে বাড়িতে নাচ করে ভিডিয়ো বানাচ্ছে। কী বোকা বোকা কাণ্ড ভাই!
প্রশ্ন: কিন্তু এটাও তো একটা রোজগারের মাধ্যম?