বাংলাদেশের রাস্তাঘাট

 বাংলাদেশের রাস্তাঘাট



বাংলাদেশের রাস্তাঘাট উন্নয়ন গত কয়েক দশকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। সরকার ও বিভিন্ন সংস্থার প্রচেষ্টায় মহাসড়ক, আঞ্চলিক সড়ক ও গ্রামীণ সড়কের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং উন্নয়ন করা হয়েছে।

A ds




বাংলাদেশের রাস্তা ও মহাসড়ক উন্নয়নের মূল দিকসমূহ:

Ads

১. মহাসড়কের উন্নয়ন

পদ্মা সেতু: এই সেতুর উদ্বোধনের ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে, যা ব্যবসা-বাণিজ্য ও যাতায়াত সহজ করেছে।

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে: এটি দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে, যা রাজধানী থেকে পদ্মা সেতুর সংযোগ নিশ্চিত করেছে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ৪ লেন: দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের সাথে ঢাকার সংযোগ আরও দ্রুত ও সুবিধাজনক হয়েছে।

ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক সম্প্রসারণ: এসব মহাসড়ককে ৬ লেনে উন্নীত করার কাজ চলমান রয়েছে।

A ds

২. ফ্লাইওভার ও মেট্রোরেল নির্মাণ

মেট্রোরেল (MRT-6): ঢাকার যানজট কমাতে এটি একটি যুগান্তকারী প্রকল্প, যা ইতোমধ্যে আংশিক চালু হয়েছে।

কর্ণফুলী টানেল: বাংলাদেশের প্রথম নদীর নিচ দিয়ে টানেল নির্মাণ, যা চট্টগ্রামে ট্রাফিক ব্যবস্থা সহজ করবে।

মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার, মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার: ঢাকার যানজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

Ads

৩. গ্রামীণ সড়ক ও ব্রিজ উন্নয়ন

গ্রামীণ সড়ক সম্প্রসারণ: গ্রামাঞ্চলে পাকা সড়ক নির্মাণ করে কৃষিপণ্য পরিবহন সহজ করা হয়েছে।

সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ: নদী ও খাল পারাপার সহজ করতে হাজারো সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।

A ds

৪. স্মার্ট সড়ক অবকাঠামো ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

ইলেকট্রনিক টোল ব্যবস্থা চালু হচ্ছে কিছু এক্সপ্রেসওয়েতে।

হাইওয়ে পুলিশের কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে।

ভবিষ্যতে ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।



Ads

বাংলাদেশের রাস্তাঘাট উন্নয়নের ফলে অর্থনীতি, যোগাযোগ ও পরিবহন খাতে ব্যাপক ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তবে যানজট, রাস্তায় অনিয়ন্ত্রিত যানবাহন ও দীর্ঘমেয়াদি রক্ষণাবেক্ষণ সমস্যা এখনও চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। সঠিক পরিকল্পনা ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এগুলো আরও উন্নত করা সম্ভব।

Post a Comment

Previous Post Next Post